বর্তমান সরকারের অধীনে কেমন নির্বাচন হয়, তা সবাই দেখেছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ভোটের নামে যা চলছে, তাকে নির্বাচন বলা যায় না। ইলেকশন কমিশন পরিণত হয়েছে সিলেকশন কমিশনে। সিলেকশন করা হচ্ছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে, আর কমিশনের কাজ বৈধতা দেওয়া। সরকারের নির্দেশ শতভাগ বাস্তবায়ন করবে এমন দলীয় লোকজন নিয়োগ দিয়ে কমিশনকে করায়ত্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখনও জাপাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির করা ক্ষতি রুখতে পেরেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ঘরের ভেতরে ঢুকে জাপাকে ভাঙতে চেয়েছে। এখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এ কারণেই মানুষ জাপাকে গৃহপালিত মনে করে। আর আওয়ামী লীগ মনে করে জাপাকে কোরবানি করা যায়।
জি এম কাদের বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের দিকে তাকিয়েছিল বিদেশিরাও। সরকার ইচ্ছা করলে ভালো নির্বাচন করতে পারত। চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আসেনি। প্রিসাইডিং অফিসাররা বসে বসে ইভিএমে নৌকায় ভোট দিয়েছে। যেখানে ভোটের হার এক ভাগও নয়, অথচ দেখানো হচ্ছে ১১ ভাগ।
জি এম কাদের প্রশ্ন করেন, আগামীতে নির্বাচনের নামে এমন সিলেকশন হলে লাভ কী? সরকার তো তাদের অধীনে নির্বাচনের মডেল দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা সাজিয়েছে, যাতে তারাই নির্বাচিত হতে পারে। ইচ্ছামতো নির্বাচন করতে সরকার দমনপীড়ন করছে।
মঙ্গলবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্ব। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
Leave a Reply