শিবচর এক্সপ্রেস ডেস্ক:
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে পাট জাগ দিতে গিয়ে এক কৃষক রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় খেয়ে দ্রæত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ডাক্তারের চিকিৎসায় বিষ প্রতিষেধক এন্টিভেনম গ্রহণ করে প্রাণে বেঁচে গেলেন কৃষক সুলতান বেপারী ।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার দুপুরে শিবচরের পদ্মা নদীতে পাট জাগ দিতে গিয়ে উত্তর চর জানাজাত এলাকার এক কৃষক সুলতান বেপারী (৫২) কে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। সাথে সাথে সুলতান বেপারীকে দ্রæত শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নিশ্চিত হন আহত সুলতান বেপারীকে প্রকৃতই বিষধর সাপ রাসেলস ভাইবার সাপে কামড় দিয়েছে। এরপরে ডাক্তারদের একটি মেডিকেল বোর্ড তাৎক্ষণিক অসুস্থ রোগী সুলতান ব্যাপারীকে চিকিৎসা প্রদান করেন। বিষধর সাপের কামড়ের শিকার সুলতান বেপারী উপজেলার জানাজাত ইউনিয়নের রশিদ মোল্লারকান্দি গ্রামের মৃত্যু কাশেম বেপারীর ছেলে।
সাপেকাটা রোগী সুলতান বেপারী জানান,পদ্মার চর এলাকার পানিতে ও শুকনো স্থানে অনেক সাপের উপদ্রব বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই এলাকায় অনেক বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার এর দেখা মিলেছে। প্রায় ১০/১২ দিন আগে এলাকায় মানুষ একটি রাসেল ভাইপার সাপ মেরেছে। সেই সাপের পেট থেকে ৩১ টি বাচ্চা বের হয়েছে। এলাকার মানুষ ওই বাচ্চা গুলেকে পুড়িয়ে মেরে ফেলে। পদ্মা নদীতে পাট জাগ দিতে গেলে আমার হাতে সাপে কামড় দেওয়ায় আমি চিৎকার করি। পাশে থাকা অন্যান্য পরিচিত কৃষকদের সহযোগিতা চাই। তারা আমার হাতে তিনটি বাধ দিয়ে আমাকে দ্রæত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো: ইব্রাহিম হোসেন জানান, গত সোমবার দুপুরে চরজানাজাত এলাকা থেকে রাসেল ভাইপারের কামড়ের রোগী সুলতান বেপারী নামে এক কৃষক শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। হাসপাতালে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় রোগী অনেক অসুস্থ । রোগী নিজেও দেখেছেন, সেই সাপটি ছিল রাসেলস ভাইবার সাপ। এরপর ডাক্তাররা মেডিকেল বোর্ড করে তাৎক্ষণিক সাপে কাটা রোগীকে পর্যবেক্ষন করে বিষ প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম দেই। এন্টিভেনম দেওয়ার ৩-৪ ঘন্টা পরে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আলহামদুলিল্লাহ রোগী এখন সুস্থ আছে।
সাপে কাটা রোগীদের সচেতনতা করতে তিনি আরো জানান, সাপের কামড়ের পর ওঝার কাছে ঝাড়-ফুঁকের জন্য গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না! যত দ্রæত সম্ভব নিকটস্থ যে কোন সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর আগেও বেশ কয়েকজন সাপে কাটা রোগী এসেছেন চিকিৎসা দিয়েছি।
Leave a Reply