আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। রায়ে ইফতেখারুলকে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর পাঁচ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং জাকির হোসেন বাপ্পী ও মাহমুদুল হাসানকে ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আবদুল মাবুদকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আট মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ব্যাংকটির গ্রাহক জাকির হোসেন বাপ্পী ও মাহমুদুল হাসানকে ১০ বছর করে এবং আবদুল মাবুদকে ছয় বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নগরের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ইফতেখারুল বর্তমানে কারাগারে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মুছা জানান, দণ্ডবিধির সাতটি ধারায় ৩১ বছর সাজা হলেও সর্বোচ্চ হিসেবে ইফতেখারুলকে ২০ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। সব সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ আছে।
এর আগে নগরীর ডবলমুরিং থানার পূর্ব মাদারবাড়ি দারোগাহাট রোডের আলমগীর কবিরের ছেলে ব্যাংকার ইফতেখারুলকে দুদকের করা পাঁচটি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত। অপর আসামিদের মধ্যে জাকির হোসেন বাপ্পী নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীর রামপুর বেপারি বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে, মাহমুদুল হাসান নগরীর দক্ষিণ খুলশী এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে ও আবদুল মাবুদ নগরীর ডবলমুরিং থানার পূর্ব মাদারবাড়ি দারোগাহাট রোডের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে।
ইফতেখারুল কবির নগরীর চান্দগাঁও শাখায় দায়িত্ব পালনকালে ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই থেকে প্রায়োরিটি গ্রাহক আবু সাঈদের ৯৫ লাখ টাকার এফডিআর করেন। কিন্তু সাঈদকে ভুয়া কাগজ দিয়ে ইফতেখারুল প্রকৃতপক্ষে কোনো এফডিআর করেননি। পরে আবু সাঈদের অরিজিনাল এফডিআরের টাকা অন্য আসামি জাকির, মাহমুদুল ও আবদুলের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করেন।
এর আগে একই ধরনের চার মামলায় ইফতেখারুলকে ২৬ বছর, ২৭ বছর, ২১ বছর ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
Leave a Reply