দক্ষ কর্মিবাহিনী গড়ে তুলতে প্রবাসীদের পাশে এ এস ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম।
এস এইচ, হেমায়েত হোসেন,- সৌদি আরব থেকে:- শামীম আল আমিন ছোট থেকেই ছিলেন একজন প্রবল আত্মবিশ্বাসী ও কঠোর চিন্তাশীল মানুষ। কুমিল্লার কোট বাড়ির এলাকার আমিনুল হক সরদারের চার পুত্র সন্ত্রানের মধ্যে তিনি মেজ। ছোট থেকে তার চিন্তা ভাবনা ছিল অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন। তিনি শিক্ষাজীবন শেষ হবার পর দেশে চাকরি পেতে যখন বেগ পেতে হচ্ছে, তিনি তখন ভাবলেন এখানে আর নয়, পাড়ি জমাবেন বিদেশের মাটিতে। তাই ২০০৮ সালে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। জীবন জীবিকার তাগিদে দেশটির রিয়াদে যাবার পরে একটি কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসেবে যুক্ত হলেন। তবে, তিনি এখানেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, স্বপ্ন দেখতেন বহুদুর। এই মরুভূমিতে একদিন অর্জন করবেন খ্যাতি। মনের আত্মবিশ্বাস আর বড় হওয়ার স্বপ্ন কঠোর পরিশ্রম করতে আগ্রহ জাগায় তীব্র আকারে। স্বপ্নে বিভোর গুনতে থাকে দিন, কবে আসবে তার সেই সুদিন। যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। মানুষ যদি তার লক্ষ্যে অটুট থাকে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে, তবে একদিন সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পারে। তেমনি একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি শামিম আল আমিন। এই বিদেশের মাটি তিনি ম্যানেজার থেকে হয়েছে উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী। শুধু তাই নয়, দেশটিতে অর্জন করেছে গ্লোল্ডেন একামা। আর এদিকে গড়ে তুলেছেন একটি ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম এজেন্সি। তার এ এস ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম এজেন্সি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হলেও তিনি এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীদের। বেসিক কম্পিউটার, ভাষার প্রশিক্ষণ ও এজেন্সি ব্যবসার আদ্যপ্রান্ত নানা বিষয়। শিক্ষিত প্রবাসী বাংলাদেশির কর্মদক্ষতায় দেশটিতে গড়ে তুলতে বিনামূল্যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সফল এই বিনিয়োগকারী । কর্মদক্ষতা অর্জন করার পরে সৌদি আরবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মের সন্ধান পাচ্ছেন প্রবাসীরা। শুধু তাই নয় কেউ কোন কর্ম না পেলেও আল আমিন সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সহায়তা করে যাচ্ছেন। এতে করে বিদেশের মাটিতে যেমন প্রবাসীদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে তেমিন করে দেশের অর্থনীতিক চালিকা শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আল আমিন প্রবাসীদের দক্ষতা করার পাশাপাশি নিজ কমিউনিটিদের মাঝে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও অবদান রাখছেন। শামীম আল আমিন জানান, সর্বস্তরের পেশাজীবীর উপযুক্ত দক্ষতা থাকা দেশ ও বিদেশে কাজ করার জন্য অপরিহার্য। দক্ষ কর্মিবাহিনী তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশে বর্তমানের রেমিট্যান্সের পরিমাণ কম হলেও দ্বিগুণ করতে পারে। শুধু প্রয়োজন উদ্যোগের। একটা সিস্টেমে আসতে হবে। বর্তমানে যা আছে, তা কার্যকর নয়। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে উদ্যোক্তা সৃষ্টির বিকল্প নাই। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করার চেষ্টা করছি। যাতে করে এদের হাতেই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
Leave a Reply